অস্বাভাবিক বিদ্যুৎবিল জনমনে অস্বস্তি ,এক সপ্তাহের মধ্যে সংশোধনের নির্দেশ ।
আলমগীর কবীর
করোনা ভাইরাসের সংক্রামণরোধে বিদ্যুৎ বিভাগের মিটাররিডাররা গ্রাহকের রিডিং ঠিকমত চেক না করেই ভুতুড়ে রিডিং হিসাব শাখায় জমা দিয়েছে এমন অভিযোগ সর্বত্রে । সম্প্রতি দেশব্যাপি হঠাৎ করেই বেশির ভাগ গ্রাহকের ঘরেই ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল আসে। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল করার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ জন্য একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে কাজ করবে টাস্কফোর্স।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিদ্যুৎ বিভাগের এক ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কোনও অবস্থায় অতিরিক্ত বিল গ্রহণ করা যাবে না। সভায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে সংস্থাগুলো পৃথক পৃথক ভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছাড়া সভায় অংশ নেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং বিভিন্ন দপ্তর ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা।
সভায় এডিপি বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনায় বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিনিয়োগ বা জিওবি খাতে ৮৭ টি, প্রকল্প সহযোগিতা খাতে ১১ টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৬ টি সহ মোট ১০৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মে ২০২০ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক ৭২.৩৬ শতাংশ ও ভৌত ৭০.৬১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। যা জুন ২০২০ এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।